বিজয় সাহা,স্টাফ রিপোর্টার (মৌলভীবাজার):
বড়লেখায় শ্বশুর বাড়িতে মধ্যরাতে পরিকল্পিতভাবে গলায় ওড়না পেচিয়ে শ্বাসরুদ করে হত্যার পর স্ত্রীকে ফ্যানের সাথে ঝুলিয়ে আত্মহত্যার নাটক সাজিয়ে ও শেষ রক্ষা পায়নি প্রভাস ফেরত স্বামী সোহেল আহমদ সুমন (৩৫) আত্মীয়-স্বজন এলাকাবাসীর সহযোগিতায় পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে ২৯ মে বৃহস্পতিবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে।সোহেল আহমদ সুমন বড়লেখার উপজেলার সদর ইউনিয়নের মাইজপাড়া গ্রামের রজব আলীর ছেলে। জানা যায় দুই বছর পূর্বে, পড়ালেখা সদর ইউনিয়নের মাইজপাড়া গ্রামের প্রভাস ফেরত যুবক সোহেল আহমদ সুমন ১২ বছর আগের প্রথম বিয়ের ঘটনা গোপন করে উপজেলার তালিমপুর ইউনিয়নের টেক্কাহালি গ্রামের হাজী আব্দুল লতিফের মেয়ে নাদিয়াতুল ফেরদৌসকে ( ২১) বিয়ে করে। সম্প্রতি সোহেল আহমদ সুমনের আগের বিয়ের,বিষয়টি স্ত্রী জানতে পেরে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া ও কথা কাটাকাটি হয়। ও সুমনের মোবাইলে ও প্রায়ই বিভিন্ন নারীদের ফোন কল আসায় স্ত্রী নাদিয়াতুল ফেরদৌস এসব ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করায় তার উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালায় সুমন। স্বামীর নির্যাতনের মাত্রা বাড়তে থাকলে গত সোমবার সন্ধ্যায় সে বাবার বাড়িতে চলে যায়।পরদিন মঙ্গলবার দুপুরে সোহেল আহমেদ সুমন শশুর বাড়িতে গিয়ে একত্রে রাত্রিযাপন করে স্বামী-স্ত্রী। মধ্যরাতে সোহেল আহমদ সুমন শশুরকে ফোনে জানায় তার স্ত্রীকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এরপর সুমন সে পালিয়ে যায়। পরে ফ্যানের সাথে ঝুলন্ত অবস্থা থেকে নাদিয়াতুল ফেরদৌসকে ( ২১)উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্মরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।পরে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় পুলিশ সুমনকে গ্রেফতার করে।নিহত গৃহবধূর চাচাতো ভাই ইসলাম উদ্দিন জানান বাড়ির লোকজন শয়নকক্ষে গিয়ে দেখেন দরজা খোলা,নাদিয়াতুল ফেরদৌস ফ্যানের সাথে ঝুলে থাকলেও পা মাঠিতে রয়েছে। অজ্ঞাত সহযোগী নিয়ে ভগ্নিপতি সোহেল আহমেদ সুমন তার চাচাতো বোনের গলায় উড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরুদ্ধে হত্যার পর আত্মহত্যা সাজাতে ফ্যানের সাথে ঝুলিয়ে রাখে সুমন।বড়লেখার থানার ওসি মোঃ আবুল কাসেম জানান,ময়না তদন্ত শেষে নিহতের লাশ বুধবার সন্ধ্যায় আত্মীয় স্বজনের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।এ ব্যাপারে নিহত গৃহবধূর বাবার হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার আসামি সোহেল আহমেদ সুমনকে বৃহস্পতিবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তে প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।