এম জাফরান হারুন:
পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার কালাইয়া ইউনিয়নের স্বনামধন্য বিএনপি ব্যক্তিত্ব, সমাজসেবক ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আলহাজ্ব আবদুল হালিম তার নিজ নামে খোলা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক আইডিতে ক্ষোভ প্রকাশ করে এমন লেখনি লিখে পোস্ট করেছেন।
তিনি রোববার (১৫ জুন) বেলা ১০টার পরে এমন লিখনি লিখে পোস্ট করেন। তিনি পোস্টে লিখেন, (যা হুবহুব দেওয়া হলো) "আসসালামু আলাইকুম,
প্রিয় ১০নং কালাইয়া ইউনিয়ন বাসি, আমি আলহাজ্ব আবদুল হালিম ১৯৮০ সালে যখন স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান সাহেব বাউফল খাল খনন করিবার জন্য আসে, তখন আমি সেই সময় উপস্থিত ছিলাম, তখন আমার বয়স ছিলো ১০-১২ বছর। সেই সময় থেকে আমি আজ পর্যন্ত বিএনপি এর সাথে আছি এবং আমার মৃত্যুর আগ পর্যন্ত আমি বিএনপি এর সাথে থাকবো ইন শা আল্লাহ। গত ৫ই আগস্ট স্বৈরাচারী সরকার বিদায় নেওয়ার পর আমি আমার নিজ এলাকায় কর্পুরকাঠী গ্রামের ৫নং ও ৬নং ওয়ার্ড এ দুইটি বিএনপি ও বিএনপির সহযোগি অঙ্গসংগঠনের অফিস খুলি সাধারণ মানুষের জন্য। কিন্তু দুঃখের বিষয় সেই অফিস দুটি গত ০৮-০৬-২০২৫ইং রাত্র আনুমানিক ৯টার থেকে ১০টার মতো কিছু নামদারি সন্ত্রাসী ও আওয়ামী লীগ এর দোসর সহ সেই অফিস দুটি ভাংচুর করে। অফিস ভাংচুর করে ক্ষান্ত হন নাই, তাহারা স্বাধীনাতর ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান এর ছবি, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ছবি ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান এর ছবি কোপায় ও ভাঙচুর করে এবং বিএনপি অফিস এর সমস্ত আসবাবপত্র ভাংচুর করিয়া পাশের নালায় ফেলে দেয়। আমি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই এবং তদন্ত করিয়া আইনআনুক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে অনুরোধ করছি। আরও উল্লেখ্য যে, তাহার আমাকে বিভিন্নভাবে প্রাণ নাসের হুমকি দিচ্ছে।"
এ পোস্টের ব্যাপারে স্বত্যতা স্বীকার করে আবদুল হালিম প্রতিবেদক কে বলেন, আমার মনঃক্ষোভ লিখনির মাধ্যমে পোস্টে উল্লেখ করেছি। এবং আমাকে বিভিন্ন ভাবে প্রাননাশের হুমকি ধামকি দিচ্ছে। এবং আপনারা অবগত আছেন যে ওইসব ঘটনার ব্যাপারে আমি আমার নেতাকর্মীদের নিয়ে বাউফল সাংবাদিক অফিসে বসে সংবাদ সম্মেলন করে তাদের বিভিন্ন অপকর্মের জানান দিয়েছি। আমরা চাচ্ছি অবশ্যই প্রশাসন দ্রুত তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নিবেন।